ক্ষেপণাস্ত্রের লড়াই ছিলই, ডনবাসে এ বার সম্মুখসমরে রাশিয়া আর ইউক্রেনের সেনা

ক্ষেপণাস্ত্রের লড়াই ছিলই, ডনবাসে এ বার সম্মুখসমরে রাশিয়া আর ইউক্রেনের সেনা

ক্ষেপণাস্ত্রের লড়াই ছিলই, ডনবাসে এ বার সম্মুখসমরে রাশিয়া আর ইউক্রেনের সেনা
ক্ষেপণাস্ত্রের লড়াই ছিলই, ডনবাসে এ বার সম্মুখসমরে রাশিয়া আর ইউক্রেনের সেনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দূর থেকে শক্রপক্ষকে নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র হানা চলছিলই। এ বার একেবারে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামল রাশিয়া আর ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থল পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস এলাকার সেভেরোডনেৎস্ক শহর, যাকে যুদ্ধের বর্তমান ভরকেন্দ্রও বলা যায়।

গতকাল রাতে এক ভিডিয়ো বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি এ কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘‘সেভেরোডনেৎস্কের রাস্তায় দুই বাহিনীর মুখোমুখি লড়াই আরও তীব্রতর হচ্ছে। আমাদের সেনা, আমাদের নায়কেরা অবশ্য হাল ছাড়েননি।’’

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নজর যে এখন পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাসে, সে কথা সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ডনবাসের লুহানস্ক ও ডনেৎস্ক প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি ইতিমধ্যেই তাদের দখলে। সেখানে সমান্তরাল প্রশাসন চালুর চেষ্টা করছে মস্কো।

তবে লুহানস্ক প্রদেশের বিখ্যাত শিল্প শহর সেভেরোডনেৎস্কের মতো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে এখনও প্রতিরোধ বজায় রেখেছে ইউক্রেনের বাহিনী। যদিও কারা জিতছে তা বলা মুশকিল। সেভেরোডনেৎস্কের মেয়র আলেকজ়ান্ডার স্ট্রুক বলেছেন, ‘‘এখানে ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। কিছুই বলা যাচ্ছে না।’’

ভিডিয়োবার্তায় জ়েলেনস্কি অবশ্য বলেছেন, ‘‘ওরা অনেক বেশি শক্তিশালী। তবে ডনবাসের ইউক্রেনীয়রা লড়াইয়ের এতটুকু সুযোগ ছাড়ছেন না। সমানে সমানে টক্কর দিয়ে যাচ্ছেন।’’ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, সেভেরোডনেৎস্ক দখল করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না রাশিয়া।

তার জন্য বিশাল বাহিনী ও সেনা সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে মস্কো। একই সঙ্গে এই সমস্ত এলাকায় গোলাগুলি বর্ষণের তীব্রতাও বহু গুণে বেড়েছে। ইউক্রেনের দাবি, অন্তত ২০টি বসত এলাকায় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তাদের গোলাবর্ষণে গত কাল দুই সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সেই দাবি নস্যাৎ করেছে মস্কো।

প্রথম থেকেই তারা বলে আসছে, সাধারণ মানুষ বা বসতি এলাকাকে তারা নিশানা করছে না। ইউক্রেন বাহিনীর হামলায় ডনবাস এলাকায় রুশ মেজর জেনারেল রোমান কুটুজ়োভ নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আজ ডনবাসের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ডেনিস পুশিলিন সে কথা জানান। যদিও রুশ প্রশাসন সরকারি ভাবে এ বিষয়ে মুখ খোলেনি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। একশো দিন পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধ থামার নামগন্ধ নেই। দু’তরফে কয়েক দফা শান্তি-আলোচনা হলেও যুদ্ধ থামার মতো কিছুই ঘটেনি। এই অবস্থায় ইউক্রেন তাদের সদস্য না-হওয়ায় সরাসরি কিভের পাশে দাঁড়ায়নি নেটো। তা বলে পশ্চিমি সাহায্য আটকে থাকেনি।

সম্প্রতি ব্রিটেন ইউক্রেনকে বিপুল অস্ত্র সাহায্য পাঠিয়েছে। অতি আধুনিক এবং শক্তিশালী দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করছে আমেরিকাও। আর তাতেই চটেছে রাশিয়া। পশ্চিমি দেশগুলিকে পাল্টা বার্তা দিতে ইউক্রেনের রাজধানী কিভে সম্প্রতি ফের গোলাবর্ষণ শুরু করেছে তারা।

মতিহার বার্তা/এমআরটি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply